আমি ও যে তাই চাই
-মোঃ হাসানুজ্জামান
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
মনটা ইদানিং বড্ডো বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছে
কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে চাই না।
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে,
অনন্ত কালের নির্ভীক যাত্রী হয়ে।
তুমি আমার সঙ্গী হবে?
শিমলা পার্কে পাশাপাশি বসে রবো
একেবারে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে।
ও পারে নীল আকাশ এ পারে তুমি আমি
মাঝখানে বয়ে চলা উত্তাল পদ্মা,
উত্তাল থাকবে আমাদের মনের ভেতর।
অবচেতন মনে আমার হাতটা ধরে বলবে,
ঐ যে দেখ দেখ কি যেন ভেঁসে আসছে।
তোমার উষ্ণ স্পর্শে আমার ক্লান্তি চলে যাবে,
আমি অনুভব করবো তোমার অনুরাগ।
তোমার তাকানোর ভঙ্গিটা এমন হবে যে,
উত্তরটাই তোমার আগে চাই।
ততোক্ষনে আমি স্পষ্ট বুঝতে পারবো,
ওটা একটা পাল তোলা নৌকা।
পদ্মার ঢেউয়ে হেলে দুলে এদিকেই আসছে।
জেলেরা ছোট ছোট নৌকায় মাছ ধরতে ধরতে,
মনের সুখে গান গেয়ে চলেছে অনবরত।
তুমি অবোধ বালিকার মতো প্রশ্ন করবে,
কি গান গাই ওরা একটাও বুঝিনা?
আমি হেয়ালী করে উত্তর দেব,
বলবো-
ওরা নিজেরাই গান তৈরি করে, সুর করে
আবার নিজেরাই গাই, ওগুলো মাছ ধরার গান,
ওগান তুমি আমি কেন, কেউ বুঝবে না।
তুমি আমার কথাগুলো মন দিয়ে শুনবে,
আর ভেতরে ভেতরে বিশ্বাস করবে।
মাঝে মাঝে উড়ে যাবে গাঙচিল
কখনও ঢেউয়ের উপর দিয়ে, কখনও বা
নীল আকাশের কোল ঘেঁষে মেঘের সাথে।
বিকেল পেরিয়ে গোধূলি লগ্ন এলে
গোধূলির রক্তিম আভা এসে পড়বে
যখন তোমার চোখে মুখে, তখন
মনের ভেতর থেকে উচ্চারিত হবে,
এসে দেখে যাও পৃথিবীর মানুষ,
আমার প্রিয়ার রূপের ঝলকানিতে,
আলোকিত হয়ে রয় প্রকৃতির বুক।
সন্ধা শেষে আঁধার এলে নেমে,
তুমি আলতো আবেষে আমার কাঁধে মাথা রেখে,
বলবে- ও গো আমার যে আর
ফিরতে ইচ্ছে করছে না।
অনন্ত কাল তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে রাখবো,
তুমি শক্ত করে ধরে রাখবে বুকের মাঝে,
আমি সারাজীবন সুখ অনুভব করবো
তোমার ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে পেয়ে।
কি হলো, কিছু বলছো না যে?
আমি ও যে তাই চাই।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতিঃ
নামঃ মোঃ হাসানুজ্জামান, গ্রামঃ রাধাকান্ত পুর, পোষ্টঃ বেরিলা বাড়ি, থানাঃ লাল পুর, জেলাঃ নাটোর। বাংলাদেশ। পেশাঃ প্রভাষক ( ভূগোল ও পরিবেশ )