যদি মানবতা ডোবে আঁধারে
-প্রদীপ কুমার মাইতি
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
যদি মানবতা ডোবে আঁধারে,
সভ্যতা ধংস হয় বারে বারে,
কলুষিত হয় রাতের অন্ধকার।
মাতৃভূমির বুক চিরে
জাত ধর্মের হয় চাষাবাদ,
ফসলে রক্তাক্ত হয় মাতৃভূমি
মাথা তুলে কতনা মৌলবাদ।
জায়ার কান্না মায়ের আর্তনাদে ভাসে
সমাধি,শ্মশান,গ্রেইভইয়ার্ড,কবর স্থান।
গোধুলির রং মেখে ক্লান্ত রবি ফিরে ঘরে,
আতঙ্কের কালো রাতে খুন হয় আমার দৃষ্টি,
আশায় থাকি ঝড় আসবেই নামবে বৃষ্টি,
ধুয়ে মুছে যাবে অভিশাপ যত সৃষ্টি।
বুকের গভীরে শোকের আগুন জ্বলছে,
অসহায় যত মরছে তবু ও লড়ছে।
ওরা সৈনিক ওরা নির্ভীক ওরা জাগাবে ধরিত্রী,
এক সাথে ওরা দুর্গম পথে আলোর পথযাত্রী।
সম্প্রীতির আলোয় জাগবে পুব আকাশ,
মাথা তুলবে সৌভ্রাতৃত্বের সতেজ বিশ্বাস।
ভোরের আকাশে স্বাধীন ডানা মেলে
উড়ে যাবে পাখি গুলো,
নয়ন ভরে দেখবো জগৎ
ফুটবে গোলাপ গুলো।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
আমি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খেজুরী থানর গ্রাম কামদেবনগর পোস্ট কলাগেছিয়া এর বাসিন্দা। একটা সময়ে কবিতা লিখতাম। কবিতাকে ভালো বাসতাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। অভাবের তাড়নায় কলেজের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। প্রচণ্ড দারিদ্র্যতার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।আজ জীবন অবসরে অতীত অভ্যাসকে সঙ্গী করে আবার লেখা শুরু করেছি। মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা কষ্ট দুঃখ কান্না ব্যাথা গাঁথা স্মৃতিময় কথা গুলোকে নিজের মত করে লিখি মাত্র।হয়তো আমার লেখাতে কোন গভীরতা নেই,ঝর্নার মতকোন গতিও নেই,নেই কোন ছন্দমিল অন্তমিল। তবুও আজ লিখতে বড় ভালোলাগে। অনলাইন পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি করি।শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি।