ফাঁকা বুলি
-মোঃ জাকির হোসেন
≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠
নিক্তির ওজনে আমাকে ঝুলিয়ে দেখেছো কখনও!
চোখ দিয়ে বুলিয়ে দেখেছো কি আমার সকল কিছু!
না আমি কোনো প্রেম উপাখ্যান নিয়ে কলমের কালি খরচ করতে আসিনি-
আসিনি দেবদারুর হালকা আবছায়ায় নিজকে লুকিয়ে,
অবগুন্ঠন সরিয়ে শিশিরে ভেজা চাঁদের আলোক রশ্মির চেয়ে উজ্জ্বল কিছু খুঁজতে।
আমি সেখানে দেখি, দাউ দাউ করে জ্বলে যায় অব্যক্ত ভালবাসা,
হারিয়ে যায় মায়া, মমতার সকল শেকল, চিতায় দাহ করার মত অংগারে।
পদ্ম পুকুরে নেমে হংসদের জলকেলিতে আমার চিত্ত মন কাড়েনা,
আমি ক্ষিপ্ত অশান্ত হয়েও শান্ত হয়ে রই।
টিফিন ক্যারিয়ার শুন্য অবস্থায় যায় আর বাড়ি ফেরে,
বাড়িতে চেয়ে চিন্তে দুমুঠো অন্ন মুখে তুলে দেয়ার অভিলাষে,
উনুনে মুখ গুজে থাকে সন্তানদের জননী।
ক্ষুধা মেটে রাত দুপুরে-
ওদিকে মিছিলের পদব্রজের শব্দ প্রকম্পিত শ্লোগানে ভারী হয়ে যায় কানের পর্দা।
কি বলছে, লক্ষ্য কি, যায়না কিছু বুঝা!
নির্ঘুম রাত শেষ হয় ভোরে ক্ষুধার্ত কাকদের কা-কা-কা শব্দে।
আর একটি দিন আসে,
পঞ্জিকায় কাটা হয়ে যায় জীবনের আর একটি দিন-
কিছু বুঝে উঠার আগেই ঝাঁ ঝাঁ বুম বুম শব্দে ঝরে যায় নিরীহ কিছু প্রাণ!
ওপারেতে অনেক সুখ এই ভেবে ডুবে যায় স্বপ্ন দেখা উচ্ছল যুবক,
না বুঝতে পারা কচি ফুলের পাপড়ি সাগরের অতল তলে,
ছিঁড়ে খায় হাঙ্গরের দল-
হাঙ্গরেরা জাল পেতে রয় ব্রহ্মান্ডের সকল স্তরে।
শুধু হা করে গিলে খাবার অপেক্ষায়।
দাবাবড়ে এদিক ওদিক নড়তে থাকে দাবাড়ুর চাল-
নির্ধারিত সময়, পেরিয়ে গেলেই সতর্কবাণী বেজে ওঠে!
গজ নাকি নৌকা কে যাবে আগে চলে মস্তিস্কের বাহাদুরি।
এই চতুর মস্তিষ্কই, ধর্ষিতার আহাজারিকে স্তব্ধ করে দেয়,
শুন্যে দুলতে থাকে নির্বাক হয়ে সবাক প্রশ্নে!
তাঁবুর মাঝে জীবন কেটে যায় জীবন সায়াহ্নে,
সবুজ প্রান্তরে নিজ আলয়ে আর হয়না ফেরা।
অধিকার, স্বাধিকার যেন সোনার হরিণ,
থাকে সিন্দুকের খোলসে।
হাত বাড়ালেই যায়না ছোঁয়া,
শান্তির বাতায়নে-
তবে কেনো আমাকে নিক্তির ওজনে তুলতে চাইছো?
আমি দিতে পারিনি প্রেম,
আমি দিতে পারিনি শান্তি,
আমি দিতে পারিনি স্বাধিকার,
আমি দিতে পারিনি সুবিচার,
আমি দিতে পারিনি মানবতার পরশমণি!
আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দাও ঐ হাঙ্গরদের সূচালো দাঁতের ফাঁকে।
আমি এভাবে আসতে চাইনা কলম কালি নিয়ে।।
≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠
তারিখ- ০৮/০৬/২০২২ (স্বত্ত্ব সংরক্ষিত)