তুমি বুঝে নিও

-পপি প্রামানিক

♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

বুকের পাঁজরের অনিরুদ্ধ স্বপ্ন পূরণের তীব্র আকাঙ্খায়,

আমি বার বার তোমার কাছে ছুটে যেতে পারি।

ছুটে যেতে পারি এক মুঠো ভালোবাসা পাওয়ার আশায়।

তুমিও কি ঠিক আমার মতো ভাবো?

মনটা কি ভেজে বিরহের নোনা জলে?

হৃদয়টা কি পুড়ে খাক হয় কষ্টের গলিত লার্ভায়?

আমার তো হয়!

এমনটা ঠিক বার বার হয়।

তোমার এতোটুকু অবজ্ঞায় – আমার ভবঘুরে কান্নারা

নোনা জলের ঢেউ তোলে–

যা চিবুক ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়ে অঝোরে।

তোমার অবহেলায় – স্বপ্নঘোরে কেটে যায়,

অভিমানী রাতের একান্ত সময়টুকু।

যেটা জানান দেয় রাত জাগা বেডরুমের অস্তিত্ব।

তোমার অনুপস্থিতিতে – ঝলসানো হৃদয়ের ব্যালকনিতে

দগ্ধ অবাধ্য জোনাকিরা ধ্যানমগ্ন হয়,

থেমে যায় সময়ের কাটা।

আমার চাপা কান্নারাও চাপা পড়ে থাকে

ছোট ছোট দীর্ঘশ্বাসের ভাঁজে।

মেঘের জানালায় চোখ রাখে ভগ্ন মন,

আশার রক্তিম সূর্যটা উঁকি দেয় ভোরের ভৈরবী সুরে।

হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য ঢেলে দিতে হাত দু’খানা ব্যস্ত হয়

মন বাগিচায় পুষ্প চয়নে।

তবুও থেমে থাকে না জীবন!

তবে মনটা মাঝে মাঝেই প্যারালাইজড

হয়ে থমকে যায়!

তুমি এক পলকে বুঝে নিও!

তুমি হৃদয় দিয়ে ছুঁয়ে দেখো হৃদয়টাকে,

চোখের গভীরতায় মেপে দেখো চোখের শার্শি বেয়ে

গড়িয়ে পড়া ঢেউয়ের উষ্ণতা,

হাত বুলিয়ে পড়ে নিও আমার ডাইরির পাতা,

কিংবা তোমার অনুভবে বুঝে নিও আমার যাপিত সময়।

♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি- 

পপি প্রামানিক পিতাঃ আশুতোষ প্রামানিক (সদ্যপ্রয়াত), মাতাঃ কানন বালা প্রামানিক । পেশাগত জীবনে আমি একজন শিক্ষক। আমি দুই রাজকন্যার জননী। আমার স্বামী এবং শ্বাশুড়ি মাকে সহ পাঁচ সদস্যের সুখী সংসার। গান শোনা, আবৃত্তি শোনা এবং বর্তমানে অন লাইন লেখালেখি করতে ভীষণ ভালো লাগে। লেখা বলতে মনের কথা গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করি মাত্র। ভালো মন্দ পাঠকের বিবেচনা।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*