সভ্যতার গহ্বরে
-প্রদীপ কুমার মাইতি
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
যখন সভ্যতার গহ্বরে ডাষ্টবিনের পাশে উচ্ছিষ্ট খুঁজে বেড়ায় নগ্ন শিশুর কচি হাত,
আপনি মুখ ফিরিয়ে দ্রুত হেঁটে ঐ স্থান ত্যাগ করেন।
তাকিয়ে দেখুন আপনার শিশু সন্তানের কচি হাতের দিকে।
কোন ভবিষ্যতের দরজায় আপনি বলবেন তাকে কড়া নাড়তে?
কামনার ক্ষুধায় আপনার পচ্ছন্দের সুন্দরী রমনীর অসহায়তার সুযোগ বুঝে
জোর করে তার নগ্ন শরীর লুট করতে লজ্জার ঘোমটা সরান।
ওকে দেখে একবার কি মনে হয় আপনি ওর বাবা, দাদা কিংবা সন্তানের সমতুল্য কিনা?
একবার নিজেকে শুধাও।
যদি না পারো তবে জিজ্ঞেস করো তোমার মাকে,জিজ্ঞেস করো তোমার দিদিকে,জিজ্ঞেস করো তোমার বোনকে।
জানতে পারবে অতিত জানতে পারবে বর্তমান জানতে পারবে ভবিষ্যত,জানতে পারবে সভ্য সমাজের ডুবন্ত ইতিহাস।
তুমি সভ্যতার দূত এবার তুমি বলো?
কেন আজও দেশের ভবিষ্যত শৈশবে স্বপ্ন হারায়।
কেন আজও রাস্তায় হাত পাতে কঙ্কালসার পেট।
কেন কাঁদে মানব সৃষ্টির মা শুন্য হাতে।
ধর্ষিতা হয় লাঞ্ছিতা হয়ে অবশেষে ঝরে পড়ে।
আজ ও কেন কাঁদে নিরবে অন্ধকারে।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
আমি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খেজুরী থানর গ্রাম কামদেবনগর পোস্ট কলাগেছিয়া এর বাসিন্দা। একটা সময়ে কবিতা লিখতাম। কবিতাকে ভালো বাসতাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। অভাবের তাড়নায় কলেজের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। প্রচণ্ড দারিদ্র্যতার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।আজ জীবন অবসরে অতীত অভ্যাসকে সঙ্গী করে আবার লেখা শুরু করেছি। মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা কষ্ট দুঃখ কান্না ব্যাথা গাঁথা স্মৃতিময় কথা গুলোকে নিজের মত করে লিখি মাত্র।হয়তো আমার লেখাতে কোন গভীরতা নেই,ঝর্নার মতকোন গতিও নেই,নেই কোন ছন্দমিল অন্তমিল। তবুও আজ লিখতে বড় ভালোলাগে। অনলাইন পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি করি।শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি।