হেমন্তের গান
-গৌর গোপাল পাল
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কনক ধানে নোয়ায় মাথা
চাষীর বাড়ে বল্ !
বন্ধ রেখে দুখের খাতা
এখন মাঠে চল্!!
কত কষ্টের দিন গিয়েছে
এই ক’টা মাস জুড়ে!
বান বন্যায় সব নিয়েছে
দেখি পিছন ঘুরে!!
দুঃখের দিন পেরিয়ে এসে
এখন সুখের মুখ!
রইছি বেঁচে যায়নি ভেসে
তাইতো মনে সুখ!!
হাসি এখন সবার ঘরে
জাগায় মনে আশা!
সুখ দুঃখের ভেলায় চড়ে
তারই স্রোতে ভাসা!!
ভাবছি বসে সেসব কথায়
জীবন নদীর তীরে!
এমনি করে দিন কেটে যায়
সুখ দুঃখে ভীড়ে!
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
কবি গৌর গোপাল পাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার লাভপুরের বাসিন্দা। প্রকৃত জন্ম- ১৩৬০ বঙ্গাব্দের ১৩ ই ফাল্গুন। সরকারি ভাবে ২৭ মার্চ ১৯৫৫ খ্রীষ্টাব্দ। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবাধ যাতায়াত। কবিতা,ছড়া, গান, গল্প, প্রবন্ধ,নিবন্ধ,পত্রসাহিত্য সব কিছুতেই অবাধ গতি। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের অনুমোদিত গীতিকার। বঙ্গভূষণ কার্তিকদাস বাউল, প্রদীপ্ত শঙ্কর মুখোপাধ্যায়,স্বপ্না চক্রবর্তী, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়,স্বপন চক্রবর্তী,নাজমুল হক, পাপিয়া লোধ, জয়দীপ রায়, জয়দেব দাস, সুদেষ্ণা গোস্বামী রায়,নিখিল বিহারী ঘোষ,জগন্নাথ মুখোপাধ্যায়,সনজিৎ মণ্ডল,আমিনূর রসিদ,রতন কাহার, মহাদেবদাস বাউল,দুলাল কাহার,পুষ্পেন্দু দাস,নিমাইদাস বাউল,নীহারিকা দাস,রঞ্জন দাস বাউল,ঈষিতা মুখার্জী,রিঙ্কু নন্দী, বিজন বান্ধব দাস, সুভাষ রায় (বাংলাদেশ),কালাচঁদ হালদারসহ শতাধিক শিল্পী সেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক গান রচনায় রাজ্যস্তরে ‘প্রথম’ স্থান অধিকার করায় ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় সেগুলি ক্যাসেট করা হয়। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পাশাপাশি ভারত সরকারের সঙ্গীত ও নাটক বিভাগের গান রচনা করার সৌভাগ্যও হয়েছে।
আনন্দবাজার,বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন, আজবিকাশ, সংবাদ, একদিন,কলম,ভোরের আলো, অনাহত,সানন্দা, ইণ্ডিয়া টুডে,দ্য সানডে ইণ্ডিয়ান, কিশোরভারতী,জ্ঞান বিজ্ঞান,কম্পিউটার ডটকম, শারদপত্র, বীরভূমি,উদ্বোধন,তথ্যকেন্দ্র, সমাজশিক্ষা, গৃহশোভাসহ অন লাইন অফলাইন মিলিয়ে পাঁচ সাতশো পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত। অফলাইনে যে সব শংসা পত্র পেয়েছি তা বাদে দেশ বিদেশ মিলিয়ে অন লাইনের সহস্রাধিক মানপত্র রয়েছে ভাঁড়ারে। রয়েছে ভারত সরকারে পোষ্টাল ডিপার্টমেন্টের দেওয়া মাইস্টাম্পে আমার ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট।
এছাড়া ‘কিছু গান কিছু কথা- ১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড,’ ‘ছন্দে ভরা দাদুর ছড়া’, ‘অট্টহাস লাভপুর’ ও ‘লাভপুর কীর্ণাহারের কথা’ শিরোনামে পাঁচখানি গ্রন্থ।