রক্তক্ষরণ
-লাভলী
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
অনন্য কখনো হ্নদয়ের
রক্তক্ষরণ দেখেছো?
কখনো কি হ্নদয় ভাঙার
মরমর শব্দ শুনেছো?
শুনে থাকবে নিশ্চয়ই।
কাছের মানুষ প্রিয় মানুষ
যোজন যোজন দূরে,
যখন থাকে অচিন পুরে।
তখন তো রক্ত ক্ষরনের
সাথেই প্রতিনিয়ত শুরু
হয় বসবাস।
আমি দেখেছি টসটসে
লাল রক্ত কিভাবে বর্ণহীন
নীল বিষাক্ত হয়ে যায়।
ভালোবাসার মানুষকে দূরে রেখে
বেঁচে থাকা কি যে ভয়ানক
যন্ত্রণার সেটা আমি জানি।
হ্নদয়কে ভেঙে টুকরো টুকরো
ক্ষত বিক্ষত করে দেয় ঘুম কেড়ে
নেই শান্তি কেড়ে নেই।
অনন্য ভালোবাসা কখনো
শরীরে আটকে থাকে না
ভালোবাসা তো থাকে মনে।
আর এই মন থেকেই আমি
তোমাকে চেয়েছিলাম।
ভালবেসেছিলাম এক সাথে
ঘর বেঁধে অনন্তকাল পাশে
থাকবো বলে দুজনেই প্রতি
শ্রুতি বদ্ধ ছিলাম।
অথচ আজ তুমি পাশে নেই।
তোমাকে ছেড়ে তোমাকে ভুলে
থাকার যন্ত্রণা কতটা যে কষ্টের
আমি আজ হাড়ে
হাড়ে টের পাচ্ছি অনন্ত।
এভাবে ভালোবাসা হীন বেঁচে
থাকার চেয়ে মরনেও সুখ বেশি।
অনন্য তুমি কি জানো এখনো
তোমার সাথে আমার নিশ্বাসে
নিশ্বাসে কথা হয় কল্পলোকে
দেখা হয় আর তোমার নাম
নিলেই হ্নদয়ে ভুমি কম্পনের
সৃষ্টি হয় শিহরণ হয়।
আমার মনে হয় তুমি এখনো
চোখের সামনেই বসে আছো।
জান অনন্য প্রেমের বন্ধন
বড়ই মজবুত আর কঠিন।
অনন্য বলতে পার স্মৃতির
অনুভূতি গুলো কেনো এমন
অসহ্য যন্ত্রণাময় হয়।
স্মৃতি গুলো সব সময় কেনো
আমাকে গুমরে গুমরে কাঁদায়।
তোমার উদ্ধাম ভালোবাসা
আমাকে নিস্ব করে দিলো।
অসহায় একা করে দিলো।
অনন্য স্মৃতিগুলো আমাকে
বড্ড বেশি যন্ত্রণা দেয়।
অনন্য কেনো আমায় তুমি
এভাবে এতোটা কষ্ট দিলে
একাকী করে কতটা সুখ পেলে।
জানিনা কার বিহনে চুপি
চুপি তুমি চলে গেলে,
সরে গেলে ভুলে গেলে।
তুমি কতটা ভালো আছো
আজ খুব জানতে ইচ্ছে করে।
তোমার অনন্যা একদমই
ভালো নেই।
অনন্য এই জীবনে আমি
কতটা অসহায় কতটা
নিস্ব তোমাকে ছাড়া।
তুমি কখনো কি একটি
বার ভেবে দেখেছো?
যদি ভাবতে কখনোই আর
যাইহোক পালাতে পারতে না।
এখন তো মনে হচ্ছে কখনো
তুমি আমাকে আমার মতো
করে চাওনি ভালোও বাসনি।
অনন্য তুমি তো প্রতিষ্ঠিত
ছিলে তবে কেনো কেনো
সব কিছু নীরবে মেনে নিলে।
তোমার পরিবার আমায় চায়নি বলে।
অনন্য একটি বার আমায়
বলতে তো পারতে আমি
বুঝিয়ে দেখতাম তার পর না
হয় নিয়তিকেই মেনে নিতাম।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি-
লাভলী, কালিয়াকৈর গাজীপুর