প্রকৃতি রানী ত্রিপুরা
-শান্তি দাস
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
ক্ষুদ্র অঙ্গ রাজ্য আমাদের পার্বত্য ত্রিপুরা,
ভুবনমোহিনী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে অতুলনীয়া।
নদী, বন, পাহাড় প্রান্তরে সজ্জিত ত্রিপুরা রানী,
সকল সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিয়ে চলেছে সুন্দর সবুজের হাতছানি।
পাহাড়ি ছড়া বয়ে চলেছে কলকল ছলছল,
কল্লোলিণী নদী গুলি যেন ত্রিপুরা সুন্দরীর আঁচল।
অরন্য দুহিতার অঙ্গে অঙ্গে ভরা রূপে লাবণ্যময়,
বনভূমির নিস্তব্ধ সৌন্দর্য অপরূপ মায়াময়।
গাছে গাছে নীড় বাঁধে নানান রঙিন পাখি,
ভাটিয়ালী মন মাতিয়ে দেয় নদীপথে মাঝি।
মৃদু সমীরণে সবুজ ধানের শীষ হেলে দুলে,
মায়ালোক রচনা করে রং বেরংয়ের বাহারি ফুলে।
মাঝে মাঝে উঁকি মারে নিঃসঙ্গ টিলাভূমি,
তাকিয়ে আছে নীল আকাশের দিকে সবুজে ভরা জমি।
বসন্তে ত্রিপুরা হয়ে উঠে ফুলে ফলে রুপময়ী,
ঝরনার কলনিনাদে মৃদঙ্গের সুর বাজে তরঙ্গময়ী।
ডম্বুরের জলপ্রপাত যেন সৌন্দর্যের অলকাপুরী,
সৌন্দর্য পিপাসুদের টানে ত্রিপুরা অনিন্দ্যসুন্দরী।
প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য সৌন্দর্যের অমরাবতী,
বিশ্বপিতার স্নেহে গড়া ত্রিপুরা প্রকৃতি রানী।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
শান্তি দাস, বিষয় শিক্ষিকা (শিক্ষা বিজ্ঞান), গণ কী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, খোয়াই, ত্রিপুরা।