অভাগী

-শ্রী স্বপন কুমার দাস

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

লক্ষীমতি সুন্দরী সুশ্রী কন্যারত্ন

যাকে চোখে হারানো ভার,

তার আগের বোনটি মরেছে বলে

অভাগী নামটি গো তার।

বাপ-মা মরা ছোট্ট দুখী মেয়েটির

কি-ইবা! ছিল অপরাধ,

মামা-মামীর নয়ন মনি হয়েও

মেটেনি কভু তার সাধ।

তারও ছিল আর পাঁচ জনা মতো

লেখা পড়ার তীব্র ইচ্ছা,

অসামাজিক সমাজের নির্যাতনে

ভাগ্যে জুটলো তার কেচ্ছা।

মামা-মামী লজ্জা ভয়ে মান বাঁচাতে

দিলে তারে লুকিয়ে বিয়ে,

ভাগ্যবলে অভাগীর জুটলো ভালে

সুপাত্র ধনীর আলয়ে।

পাড়া প্রতিবেশী মামা-মামীর মুখে

ফুটলো উঠে হাসি খুশি,

অসামাজিক অবাঞ্ছিত সমাজের

মুখটি হলো কালো শশী।

সুখে সংসার পাতলো দুখী অভাগী

দুঃখ কষ্ট গেল মুছে,

বাপ-মা হারিয়ে মামা-মামীরে ছেড়ে

শ্বশুরালয়ে সুখে আছে।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিত=

আমি শ্রী স্বপন কুমার দাস। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর মহকুমার নাগরিক।আমার পিতা স্বর্গীয় সন্তোষ কুমার দাস মহাশয় ও মাতা কল্যাণী দেবীর আমি দ্বিতীয় পুত্র।আমি কবিতার সঙ্গে খুব অল্প বয়স থেকেই যুক্ত আছি।আমার কবি পরিচিতি ঘটে ১৯৭৮ সালে সুবর্ণরেখা পত্রিকার হাত ধরে ইতি মধ্যে আমার বহু পত্রিকাতে লেখা ছাপা হয়েছে ও লেখার সঙ্গে যুক্ত আছি।কবিতা লেখা আমার একটা সখ তাই আমি বর্তমান অনেক ব্যস্ততার মাঝেও রোজ একটি করে কবিতা লিখি।ইতি মধ্যেই আমার লেখা কবিতা প্রায় হাজার পার করেছে।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*