কবিতা দিবসে

-শ্যামল কুমার মিশ্র

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবিতা দিবসে তুমি একটা কবিতা লিখতে বলেছিলে

বলেছিলে কবিতাটি ডেডিকেট করতে তোমার ভালবাসায়

কবিতাটি লিখতে বসলাম

হুড়মুড়িয়ে ধেয়ে এলো অনেক শব্দ

কোনটা স্ফুট আবার কোনটা অস্ফুট

সকালের নরম আলোয় কুঁড়িগুলো দুলে উঠলো

প্রস্ফুটিত ফুলগুলো আহ্বান করল দ্বিরেফেরে

সৃষ্টির ধারা ছড়ানোর আনন্দ ওর সমগ্র হৃদয় জুড়ে

অস্ফুট কুঁড়ির মতো শব্দগুলোও অপেক্ষায়

কবি! তুমি ছুয়ে যাও ওরে

তোমার নরম স্পর্শ প্রত্যাশী জেনো

স্পর্শ প্রত্যাশী মন কেঁদে চলে

সৃষ্টির অবিরাম ধারা নিত্য প্রবহমান…

প্রবহমান ধারা মাঝে জেগে ওঠে উপলখণ্ড

উৎক্ষিপ্ত জলরাশি আছড়ে পড়ে

কেঁদে কেঁদে মরে বাধার অভিঘাতে

শব্দমালা ব্যথার কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে

অভয়া, অপর্ণা কিংবা সরমা সোরেনে ব্যথা হয়ে

কিংবা ইউক্রেনের যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার কান্না হয়ে…

অপরাহ্ণের নরম আলো এসে পড়েছে কবিতার মুখে হাজারো শব্দ থমকে সেখানে

কবিতা দিবসে আমি সেই শব্দ খুঁজে মরি

শব্দের কথামালা…হয়তো বা গান কিংবা কথায়

সায়াহ্নের গোধূলিতে উড়িয়ে দিলাম আমার কবিতারে

একটু প্রেম, একটু ভালোবাসা তরে…

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবি পরিচিতি:

সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে প্রায় ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*