নদী তোমায় ভুলিয়ে দিবে
-বিপ্লব শামীম
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
এই চলোনা নদীর ধারে
দেখে আসি স্রোতের তেজ,
মেখে আসি হিমেল হাওয়া
দেখতেও তোমায় লাগবে বেশ!
নদীর ধারের কাশফুল ঐ
ডাকবে তোমায় হেলে দুলে,
শুভ্র তার পাপড়ি গুলো
উড়ে উড়ে আসবে কোলে!
কুলকুলিয়ে বুলবুলিয়ে
ডাকবে তোমায় নদীর জল,
ঘোলা জলে দেখবে নেমে
স্রোতের টান কতো প্রবল!
ঠাণ্ডা জলে জল কেলিয়ে
করবে তুমি অবগাহন,
দূরে বসে দেখবো আমি
উল্লসিত সেই ভুবন!
দেখবে এসে নদীর ধারে
ভাঙ্গছে নদীর একটি পাড়,
দেখবে সাহস ঐ মানুষের
জানেই না সে কিসে হার!
নদীর ধারে বর্শি দিয়ে
করবো আমরা মাছ শিকার,
ছিপ ফেলিয়ে বাদাম খেয়ে
গল্পে মজবো সময়টার!
কলশি করে জল ভরে
যাচ্ছে পাড়ের বঁধুর দল
নয়ন ভরে দেখবে তুমি
কি অসাধারণ তারা সরল!
পানসি নাওয়ে ঘুরাবো তোমায়
দেখবে মাঝির গুণটানা,
মধুর সুরের জারি সারি
ভরাবে তোমার মনখানা!
নদী তোমায় ভুলিয়ে দিবে
ক্লান্তি শ্রান্তি অবসাদ,
স্বস্তি পাবে খানিক সময়
প্রসাদ করবে পক্ষপাত!
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিত :
আমি দেওয়ান শামীমুল ইসলাম। ডাক নাম দুইটি, দাদার বাড়ীতে আমি শামীম আর নানার বাড়ীতে আমি বিপ্লব। বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অধীনস্থ বাসাইল উপজেলার তিরঞ্চ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম! জন্মসাল – ১৯৭১। বাবা – মরহুম মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম ছিলেন স্বনামধন্য একজন প্রধান শিক্ষক ও সমাজ সেবক। মা – মরহুমা রওশন আরা বেগম শিউলি। আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারী সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি (গণিত)। পেশা – শিক্ষকতা। বর্তমানে সৌদিআরবে কর্মরত। মূলত শখের বসেই লেখালেখি। প্রকৃতির সান্নিধ্য ও এর বিশালতা আমাকে মুগ্ধ করে।ধন্যবাদ।