করেছি মানা
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
তুমিও করো, ওরাও করুক
মোর পিতাকে আমি করেছি মানা
পন করেছি, পণ দেবো না
চুলোয় যাক সেকেলে ভাবনা।
কষ্ট করেই থাকতে পারি
প্রেম পিরিতি থাকলে জারি।
চাই না গাড়ি, পাথর দেওয়া পাকা বাড়ি
কুঁড়ে ঘরেই আমি সুখি, মানুষ হয়ছি তাই
গুরুজনে মান্য করে প্রতিদানে স্নেহ চাই।
মোরা একে ওপরের সুখেদুখে পাশে থাকব
সংসারের যাপিত জীবনে সমঝোতা রাখব।
চাই না গয়না, চাইবো না দামি শাড়ি
ভাঙতে চাই না সংসারের ঐক্যের হাঁড়ি।
বিদ্যাসাগরের শিক্ষার প্রকৃত পথে চালিত হয়ে
করব মানুষ আত্মজদের সঠিক শিক্ষা দিয়ে।
পণের টাকায় – পরের টাকায় ধন বাড়ে না
হবু শ্বশুরের বুকে দেবে কেন ? অশেষ যন্ত্রণা।
আজ শিক্ষিত সরাক ছেলেদেরও ভাবতে হবে,
কোমর বেঁধে লাগতে হবে, কতদিন আর অবুঝ রবে
সমাজ সংস্কারে দিয়ে মন, কু প্রথা তাড়াবে কখন ?
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ।
দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বাংলা সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে এযাবৎ বিভিন্ন শারদীয়া, ত্রৈমাসিক, মাসিক, ও ই-পত্র পত্রিকায় কবিতা, পরমাণু গল্প, অনু গল্প ও প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সংলাপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। একাধিক যৌথ সংকলনের পাশে পাশে থেকে কবিতার পাতা ডট কমে নিয়মিত কলম ধরে চলেছেন।
বাস্তব সমস্যা।