প্রজ্ঞা

-পৌষালী

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

পাটভাঙা সাদা হলুদ বুটিকের শাড়ি পরে

এক গাল হাসি নিয়ে তুমি এলে।

সবসময় চনমনে সতেজ লাগে

অথচ কি শান্ত দৃড় প্রত্যয় ভঙ্গি!

মাথায় কিলবিল করছে ভেক্টর, কস নাইন্টি, সার্ফেস, থিটা জিরো ডিগ্রি।

কিন্তু সেই তুমি এই ভেক্টরের পাশাপাশি কত সুন্দরভাবে

শব্দকে রঙিন ভাবে সাজাও।

দ্যাখো গাছের পাতাগুলো নড়ছে হাওয়াতে,

সজনে ফুল গাছটা উঁকি মেরে দেখছে তোমার ভঙ্গিমাকে।

তোমার পথ যে সবসময় মসৃণ তাও নয় অনেক রূঢ়

এবড়ো খেবড়ো পথের ওপর দিয়েও হেঁটে যেতে হয়,

কি নিদারুণ শক্তি, সাহস, বুদ্ধি নিয়ে পার করো।

তোমাকে প্রজ্ঞা বলে ডাকি! আমার একান্ত প্রজ্ঞা।

ভালো বলেছিলে, মনের কানেকশন।

আমি বলি, মনের তরঙ্গ।

ছায়াগুলো অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে হাতড়ায় আলোর অভিমুখ।

তুমি এলেই একটা শব্দের বিকেল তৈরি হয়ে যায়। শব্দরা একজোট হয়ে বেঁধে থাকে।

বিকেল ধীরে ধীরে সন্ধের দিকে এগোচ্ছে।

তোমার ক্লান্ত চোখ নিংড়ে নিচ্ছে পুরো বিকেলের আবহকে।

প্রজ্ঞা, সময় কি আছে তোমার!

যেতে পারি যে কোনো এক ঋতুর বিকেলে।

একটু সময় রেখে দিও আমার জন্য…

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি:

শব্দের চাষ করে। মননের তুলিতে স্বপ্নের বীজ বোনে। শব্দের ফেরিওয়ালা।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*