অসংযত জীবনাচার
-মোঃ শাহ্ জালাল বিল্লাহ্
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
চরিঞ্চু মন করে আকলন অর্থ-বৃত্ত নিখর্ব,
দুর্মদ ভাষণ অতিশয় প্রাশন কী অহেতুক গর্ব!
গঞ্জিত নক্ত অগণিত ভক্ত মিলাবে কে শেষাঙ্ক?
বেহদ্দ রক্ত ভেজালে অক্ত তাই হলে অবিশঙ্ক।
নটের মতো চলো অবিরত রাখো ভ্রম মনীষা,
বৃংহিত দেহ দেখবে না কেহ র’বে নাকো দিশা।
ঝুটমুট গান হবে অবসান হলে আত্মার ফরাকত,
স্বপ্ন-প্রত্যয় ঘটবে অত্যয় খুঁজো অমর্ত্য ইমারত।
শঠ, শৌণ্ড, কামুক, ভণ্ড কাঁপবে দস্তক দেখে,
প্রতত খাটুনি বজ্রআঁটুনি কফনে ফেলবে ঢেকে।
কেন নচ্ছার ছিলে সোচ্চার করোনি সত্য তাবাস,
হেসে খেলে ফিরে এলে শুনলে না সত্য আভাস।
হয়ে নমস্ব লোভে পরস্ব পরান্ন করো পরিভোগ,
দমিত তারণ ঈপ্সা বারণ এটাই অনঘ উপযোগ।
জীবন ঋদ্ধি শৌর্য বৃদ্ধি মিছে মোহে উদভ্রম,
বুঝেও অহিত করোনি রহিত উদ্ধত,ঘৃণ্য শ্রম।
উপস্থ গন্তা খুঁজবে পন্থা শেষ বিচারের দিনে,
উচ্ছল ফক্কা পাবে না রক্ষা বিধাতার দয়া বিনে।
কুল-মাখলুক খুলবে তমসুক তাঁরই সামনে বসে,
ভীত-শ্রান্ত হবে উদভ্রান্ত ভুলের হিসাব কষে।
কেন বেহুদা মনের ক্ষুধা নিবারণে করো ধান্দা?
সর্বদ্রষ্টা দয়াময় স্রষ্টা সৃজিলেন সকল বান্দা।
সর্ব সেরাজীব র’বে উদগ্রীব তাঁরই করুণা পেতে,
ভুলে শপথ দুর্গম পথ পারবে কি পেরিয়ে যেতে?
কপট,কেবলা,পামর,ছেবলা স্রষ্টার পেটেয়া হও,
কুপথের পান্থ কেন বিভ্রান্ত? সত্যকে খুঁজে লও।
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি প্রদ্যোত দৃষ্টি খুঁজো মুক্তির পথ,
ক্ষণিকের ভবে কেউ না র’বে, কেন ভিন্ন মত?
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
আমি, মোঃ শাহ্ জালাল বিল্লাহ্, সহকারি অধ্যাপক, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ, তজুমদ্দিন, ভোলা।