বালিকা বধূ

-শান্তি দাস

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

ওগো বধূ ওগো বর তোমরা জানো জগৎ সংসার,

বালিকা বধূ হেলে দুলে চলে নিশ্চিত হয়ে ঘুরে ফিরে।

গুরুজনে দেয় বাধা চলো ঘর বাধো তার সনে,

বুঝে না সে স্বামী কি ধরা দিতে যায় না সম্মুখে।

ওগো বালিকা বধূ তুমি নবীনা তুমি কি সদা বুদ্ধি বিহীনা,

এ তব উদার প্রাসাদে একেলা দিচ্ছে কাটিয়ে তব বেলা।

কাছে এলে ভাবে শুধু খেলিবার সাথী ওগো বর জানো তুমি,

এ তব বালিকা বধু জানে না সে করিতে সাজ উদাস মন তার।

গুরুজনেরা বলে তোমার পতিদেবকে ডাকবে কিসে,

ভীত হয়ে শুনে কেমন করে পূজিবে ওগো বালিকা বধূ।

কোনমতে ভাবিয়া না পায় কোন পথে সে লুকাবে মুখ তার,

খেলাচ্ছলে এদিক ওদিক তাকালে অবাক পানে চায়।

একদিন বালিকা বধূ বুঝিবে স্বামীকে পুজিবে কিসে,

মন থেকে ঘুরে যাবে খেলা সংসারে মনোযোগ দিতে।

সযতনে পরিবার পরিজন নিয়ে খেলা তার ঘুচে যাবে চিরতরে,

সাজিয়া যতনে বাতায়ন তলে রহিবে জাগিয়া বুঝিবে নিজেকে।

থাকে সে অগুছালো কেশ তার এলোমেলো হয়ে একাকার,

নাই তার কোন লাজ শতবার ধুলোয় লুটিয়া ব্যস্ত দেখায়।

মনে মনে কত ধারণা সাজায় ঘর জানে না কোন সাজ.,

অবুঝ মনে এদিক ওদিক অগুছালো মনে ঘুরে বেড়ায়।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি —

শান্তি দাস, প্রযত্নে -মনোরঞ্জন দাস, এম এ এডুকেশন (কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়) নদীয়া, সরকারি বিদ্যালয়ে বিষয় শিক্ষিকা, আগরতলা, ত্রিপুরা, খোয়াই, জাম্বুরা

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*