মাঝি

-তাপস কুমার সরকার

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

ওই দেখো মাঝি ভাই টানে ধরে দাঁড়

সারা দিন কত লোক হয় পারা পার ।

কত লোক আসে যায় কেউ নয় তার

তবুও সে থামে না যে করে যায় পার ।

মাঝি দেখো হুকো টানে বসে তার নায়

সাবধানে পার করে নাম আছে গাঁয় ।

দাঁড় ধরে জোরে টানে পাল উড়ে যায়

ছোট বড় ঢেউ গুলি লাগে এসে নায় ।

ঝড় জল যাই হোক মাঝি থাকে বসে

পার হয়ে যাবে যারা হাঁক দেয় এসে ।

রাগঢিল নেই তার ডাক এলে হাসে

যত দূর থাক না সে ছুটে যায় পাশে ।

নদি পথ সোজা নয় এঁকেবেঁকে চলে

মাঝি ভাই নাও নিয়ে বসে থাকে জলে ।

সাপ ব্যাঙ কত মাছ নানা খেলা খেলে

হাঁফ ছেড়ে বাঁছে ওরা নদি আছে বলে ।

গাছ গুলি ছায়া দেয় মাঝি এসে বসে

ঝড় এলে গুঁড়িতে সে নাও বাঁধে কষে ।

চেয়ে থাকে ঘাট পানে কেউ যদি আসে

তাড়াতাড়ি ছুটে যায় নায়ে গিয়ে বসে ।

চারিদিক ঘন মেঘ মাঝি শুয়ে নায়

তারি মাঝে ভাটিয়ালি সুর দিয়ে যায় ।

ঐ পারে হাঁক দেয় চোখে দেখা দায়

খেয়া ঘাটে এই ভাবে দিন কেটে যায় ।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি :-

কবি – তাপস কুমার সরকার, পিতা – সুনীল সরকার, মাতা – সুমিত্রা সরকার, গ্রাম – বরেয়া খড়ের মাঠ, পো: – বরেয়া, জেলা – নদীয়া, রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ, দেশ – ভারত। পড়াশোনা :- ছোটবেলায় গ্রামের পাঠশালাতেই পড়াশোনা করেন । তারপর বাড়ির বাইরে হোস্টেল জীবনে পদার্পণ । হোস্টেল জীবনেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা । প্রথমে কল্যাণী ইউনিভার্সিটি তারপরে রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি কলকাতায় পড়াশোনা করেন । অবসর সময়ে খেলাধুলা এবং লেখালেখির নেশা ছোট থেকেই । উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথমে মহারাষ্ট্র তারপর কলকাতায় থাকেন । কলকাতা থেকে তিনি শুরু করেন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি পর্ব । ইউনিভার্সিটি :- কলেজ – বেথুয়াডহরি , কল্যাণী ইউনিভার্সিটি । নাগপুর ইউনিভার্সিটি ( মহারাষ্ট্র ) , এবং রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি , কলকাতা ।

কর্মজীবন :- ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সরকারি শিক্ষক পদে যুক্ত হন । বর্তমানে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন , যেখানে নিয়মিত স্বামী বিবেকানন্দের চরণধূলি পড়তো বেলুড় উচ্চ বিদ্যালয় ( HS ) , বেলুড়মঠ , কলকাতা ।

যৌথ কাব্যগ্রন্থ :- এষণা , কাজলা দিদি , চক্রব্যূহ , শারদ শিউলি , অক্ষর মিছিল , রোদ্দুর হেঁটে যায় , শুভ পয়লা বৈশাখ ,শব্দ যান , নব দিগন্ত । গীত রচনাবলী :- ” হিসাব তো সেই শূন্য ” ‘ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতীয় গীত ‘ ‘ বাংলা আমার প্রাণ ‘ ‘ দিদি তোমার দরবারে সব ‘ ‘ লিখে যাবো এই ধরণীর বুকে ‘ ” স্নেহময়ী মাতা ” ” দুঃখের শ্রাবণ ” ” প্লাস্টিক বর্জন ” ( প্লাস্টিক মুক্ত দেশ করার উদ্দেশ্যে সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য লেখা ) ” খাঁচার পাখি উড়াল দিছে ” ” ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ ”

সংবাদপত্র ;- আসামের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ বরাক কন্ঠ ‘ এবং কলকাতার ‘ অমৃতা ‘ পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয় । পত্রিকা :- ‘ দেশ ‘ এবং ‘চেতনার অন্বেষণ ‘ কলকাতা এছাড়া দুই বাংলার বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত , বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপ থেকে তিনি একাধিক সনদ প্রাপ্ত ।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*