একটি কবিতা বলে দাও চিরকুট অতীত
-অভিজিৎ হালদার
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
একটি কবিতা বলে দাও চিরকুট অতীত
বলে দাও ডাক চিঠি শেষের ঠিকানা
কিছু কথা বলার থাকে নীল ডায়েরির পাতায়
কেউ কথা রাখে না ! কেউ কথা রাখতে জানে না !
আমাদের অভাবের সংসার – অন্ধকারে দিন যাপন।
আমরা দেশের কথা ভাবি না !
আমরা জনগণের কথা ভাবি না !
পায়ের নীচে মাটি থাকে না মৃতদেহ সাজাতে ! কেননা যুদ্ধের মৃত চিতা-সমাধি পায় না !
পায় শুধু চিরকুট অতীত যেখানে খোঁজ থাকে না !
নিখোঁজ হলে মৃত…..
এছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না।
মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় নাগরিকদের
এই পৃথিবী মানুষের জন্য নয় !
যদি দিন শেষে কবিতা না জমা পড়ে
তবে ধরে নিও লেখক হারিয়ে গেছে
অজানা ঠিকানায়।
আমাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে
কেননা আমিও এই পৃথিবীর নাগরিক ছিলাম।
আমিও এই পৃথিবীতে জেনে ছিলাম।
একটি কবিতা বলে দাও চিরকুট অতীত কবিতার মৃত্যু হয় না ! মৃত্যু হয় মানুষের
মৃত্যু হয় মনুষ্যত্বের !
আর মৃত্যু হয় দুটি চোখের অশ্রু বিন্দুর।
এই পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য এক ইঞ্চি মাটির ভাগও ছাড়ে না
তবে অনায়াসে ছেড়ে যায় সত্যের পথ।
একদিন ধূলিসাৎ হবে সমস্ত কিছু
যেদিন কেউ আর থাকবে না এই পৃথিবীতে কবিতা থাকবে না ! সেই অনুভূতি থাকবে না !
আর থাকবে না কোনো জীবন !
একটি কবিতা বলে দাও চিরকুট অতীত
বলে দাও জীবন আর নেই পথে
শহর আর জীবিত নেই
বেঁচে নেই বৃষ্টি আর উড়ে যাওয়া মেঘের পাখনা।।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
লেখক পরিচিতি:-
জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালি ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে। পিতা:- কার্ত্তিক হালদার, মাতা:- আরতি হালদার। শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বর্তমানে সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ভূগোল বিভাগের অনার্সের ছাত্র। লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে। লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে। বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)