ভালোবাসার একাল সেকাল
-বিমান বিশ্বাস
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
মেঘের পাকদণ্ডী বয়ে যায় সীমান্ত ধরে
হাওয়া দোল খায়,রোদ্দুর মিছিল করে পাইন বনে
একফোঁটা জল দাও
শোনে না আকুল আকুতি নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে দীঘল কালো চুলের বেনী।
পাহাড়ী পাখির ডাকে সাড়া দেয় প্রেয়সী শ্রাবণ
অথচ তার মুখ ভার,ন্যায্য দাবি দাওয়া গিলে খায় এক আকাশ উষ্ণ বাতাসের ঝাঁক।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নরাজ্যে আসে মেঘ পরী ঝর্ণা হয়ে।
ঝিঁঝিঁর ডাকে ঘুম ভাঙলে একপশলা প্রেম আসে সদর দরজা দিয়ে।
দৃশ্য বদলায়,চোখ যতদূরে যায় অমানিশা কান্না জুড়ে স্বপ্নের গন্ধে,
শুষ্ক ঠোঁটের মনমরা হাপিত্তেস শোনে বিরহী আঁজলা সুখ।
এভাবেই তুমি আসো,মিশে যাও পাহাড়ের প্রেমে গলে নদীর জলে।
মাটির মানুষ খুঁজে চলে তোমার ভালোবাসা চোখের কোণে।
একসময় প্রশ্ন করে ঘরবন্দী ছাতা
মনে করায় কোনো এক নদীর তীরে গোধূলির আমন্ত্রণে
ভাঙা কুঁড়ে ঘরে তাকে সাক্ষী রেখে বিদায় নেওয়ার দুর্লভ ঘরকান্না।
আজ তবে কি অসুখ তোমার!
ঘনিয়ে আসো প্রেম দিতে পৃথিবীর বুকে
ঝরে না পড়ে হারিয়ে যাও পাহাড়ের গা বেয়ে কোন সুদূরে!
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি-
বিমান বিশ্বাস। কোলকাতায় বাস। পাঠকের ভালোবাসাই লিখতে ভাবায়।