শোষিত শ্রাবণ
-বিমান বিশ্বাস
↵↵↵↵↵↵↵↵
শোষণের ভারে নতজানু এ মন,
অবজ্ঞার করাঘাত আর প্রেমহীন স্বৈরশাসন ঘেঁষা মনোভাব দেখেছি তোমার হৃদয় জুড়ে!
যা মনে করায় আমায় মন্বন্তরের দিশাহীন উষ্ণতার আবেশ।
প্রেমহীন সংকট কাটিয়ে উঠেছিলাম মনের দুর্ভিক্ষকে আপন করে,
তাই, নির্জন বাতাসে কাটিয়েছি কত গোধূলি বেলা।
ঘুমিয়ে পড়া সপ্তর্ষিমন্ডলকে কতবার দেখেছি আঁখি মেলে,
দেখেছি বলাকার সারি; স্রোতে ভেসে যাওয়া হাঁসের কলধ্বনি শুনেছি কান পেতে,
আধো জ্যোৎস্নার চাঁদকে সাক্ষী মেনে বুনেছি ছেঁড়া নকশিকাঁথা তোমায় দেবো বলে।
তুমি তো জানো প্রিয়তমা!
দৃষ্টিহীন ব্যথার অশ্রু দান করেছি,
দান করেছি তোমায় ভালোবেসে
দর্পণে ভেঙেছি কতো শ্রাবণ মেঘের অজস্র অশ্রুজল।
স্বপ্নকে আপন করে মেটাতে চেয়েছি
মেটাতে চেয়েছি আমি দেহের অতৃপ্ত কামনা,
সীমাহীন ঝঞ্চার অকুলেও তোমায় দিয়েছি,
বাস্তুহারা হৃদয়ের শীতল ছায়া।
তবুও পাইনি তোমার ভালোবাসা!
শোষণের তাড়নায় অপরিচিত মেঘের আনাগোনায় তুমি,
করেছো ছন্নছাড়া আমার গর্বের ভালোবাসা।
ক্ষতের প্রলেপ এঁকেছো আপন মনে দূষিত মনে।
তাই ভেবে দেখলাম
বৃথাই করেছি তোমায় অশ্রুদান
ব্যথাভরা অভিমানে নিজেকে জড়িয়ে,
ঋণী করেছি আমি নিজেকে
তোমার শোষণ ভালোবেসে!
↵↵↵↵↵↵↵↵
কবি পরিচিতি-
বিমান বিশ্বাস। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত পানিহাটি সোদপুরের নাটাগড়ে। আমি ভূগোলে এম.এ করেছি। আমার লেখালিখির হাতেখড়ি করোনা কালীন সময়ে ০৬/০৪/২০২০ তে। লেখালিখির জগতে আসার পেছনে আমার কোনো মহাকাব্যিক আখ্যান নেই। হয়তো কালের নিয়মে আমার এই জগতে আশা। সেই থেকে আপনাদের ভালোবাসায় মনে যা আসে তাই লেখার চেষ্টা মাত্র।