ধুর ছাই
– বিমান বিশ্বাস
⊗⊗⊗⊗⊗
বনবাসী এ জীবন,
ধূলি লুন্ঠিত নিস্প্রভ হৃদয়ে বইছে।
তৃণসম অত্যুচ্চ অগ্নি দৃপ্ত বাণ,
কম্পিত শীর্ণ ভাবনা দোলে আমার
দখিনা সমীরণে।
ভালোবাসার অনাহারে কাটে, আমার বিনিদ্র রজনী।
মৃতপ্রায় সুপ্ত বাসনা আমার, বনপ্রস্থানে গেছে আনমনে।
গেছে সে নির্বাণে নিভে!
আমি না;
বিকার মনে শুনি ঝরা পাতার কম্পিত ধ্বনি,
শুনি আমি হারিয়ে যাওয়া ডাক হরকরার করুন আর্তনাদ শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় !
বর্ণহীন গোলাপের কাঁটায় হৃদয় তন্ত্রী হয় রক্তিম শিখায় লাল,
নির্বুদ্ধিতার নয়নে বয়ে যায় তোমার দেওয়া অবহেলার অশ্রু,
অশ্রু বর্ষণে নিহত হয় চোখের দৃষ্টি।
তবুও জানো প্রিয়তা,
ভুলতে পারি না!
ভুলতে পারি না তোমার দেওয়া মধুমাখা দুঃখ,ব্যথা আর অবহেলা।
ভেজা ইচ্ছেরা ডানা মেলে তরঙ্গ ধ্বনিতে,
প্রকম্পিত হৃদয়ে শুনি ব্যথার কলতান,
রোদ্দুরের ঝর্ণায় চেয়ে দেখি তোমার মুখখানি,
শীর্ণকায় এদেহ জড়াতে চায় তোমায় নরম আলিঙ্গনে।
সব ইচ্ছের হয় জলাঞ্জলি রুক্ষ বক্ষ মাঝে,
মরু হৃদয়ের শৈত্য বিভাজিকায় হারিয়ে ফেলি নিজেকে,
হারিয়ে ফেলি সুপ্ত চাওয়া পাওয়া
খুঁজে ফিরি চিতার আগুনে একটু শান্তি।
হৃদয় বীণায় আঁকতে চাই ভুলের মাশুল,
এ আমার পরম ভুল ছাড়া কিছুই নয় তা আমি জানি
তবু পারি না জানো!
কখনো পাহাড়কে ডেকে জিজ্ঞেস করি,
আমি কি তার তোমার ইচ্ছে গুলোর আশ্রয় হতে পারি?
পারি আমি ক্লান্ত তৃষ্ণা জুড়াতে সূর্যের নরম আভায়!
ভাবি আমি,পূর্ণিমার চাঁদে দেখবো বৃষ্টির ফোঁটা,
ভিজবো তুমি আমি প্রেমের রক্ত ধারায়!
তবুও ফিরে আসে,
ফিরে আসে অপ্রেমের মহামারী আর নিষ্কলুষ প্রত্যাখান।
হারাই নিজেকে ধোঁয়াশায় তিমিরে,
রুদ্ধ হয় ভাবনার কলম।
মুখ ভার করে চেয়ে থাকে সে
কাঠ ফাটা গ্ৰীষ্ণের দুপুরে,
শুষ্ক ঘুম আসে চোখের পটভূমিতে
সাক্ষী বিহীন মকদ্দমায় চলে আমার দেনা পাওনার হিসেব!
হারাই সকলি,
পিয়াসী আদুরে অবহেলা আর অযত্ন উপেক্ষার যাঁতাকলে।
তবু জানো প্রিয়তা;
বুভুক্ষু এ হৃদয় শুধু তোমাকেই খোঁজে,
সে শুধু তোমাকেই চায়,
শুধু তোমাকে।
⊗⊗⊗⊗⊗
কবি পরিচিতি-
আমি বিমান বিশ্বাস। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত পানিহাটি সোদপুরের নাটাগড়ে। আমি ভূগোলে এম.এ করেছি। আমার লেখালিখির হাতেখড়ি করোনা কালীন সময়ে ০৬/০৪/২০২০ তে। লেখালিখির জগতে আসার পেছনে আমার কোনো মহাকাব্যিক আখ্যান নেই। হয়তো কালের নিয়মে আমার এই জগতে আশা। সেই থেকে আপনাদের ভালোবাসায় মনে যা আসে তাই লেখার চেষ্টা মাত্র।