অপ্রাপ্তি
-নুপুর বিশ্বাস
♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেক কিছুই – হয়তো দেওয়ার ছিল
তোকে- যা হয়নি দেওয়া কখনোই,
অনেক কিছুই চাওয়ার ছিল শুধুই
তোর কাছে-তা হয়নি চাওয়া এখনো।
এপথ,ওপথ,কত না অচেনা,অজানা
অলিগলি-হয়নি তো একসাথে কখনো হাঁটা,
কত মাঠ-ঘাট,বিস্তীর্ণ প্রান্তর,ছুটতে চেয়েছি
তোর’ই হাত ধরে,হয়নি তো ছোটা ।
কত শিউলি,বকুল কুড়িয়েছি পাখি ডাকা
ভোরে-তবু হয়নি কখনও গাঁথা মালা,
তোর জন্য জমিয়েছি কথার উপর কথার
পাহাড় -যা হয়নি তোকে আজও বলা ।
কত কাজ করতে চেয়েছি মিলে-মিশে
দু’জনে-হয়নিতো তা করা কখনোই,
তোর স্বপ্ন এঁকেছি দু’নয়ন ভরে সারা
জীবন জুড়ে-যা হয়নি পুরণ এখনও।
জীবনের গান গাইতে চেয়েছি মোরা
একসাথে-তবু হয়নি গাওয়া কখনো,
শেষের কবিতা পড়তে চেয়েছি শুধু
তোর সাথে-তবু হয়নি পড়া এখনো ।
দেখতে চেয়েছি গোধূলিরাঙা বিকেল,
তোর কাঁধে-মাথা রেখে,হয়নি তো দেখা,
নগ্নপায়ে হাঁটতে চেয়েছি সমুদ্র বালুতটে,
তোরই-হাত ধরে,সে সুখ হয়নি চাখা ।
এক ফ্রেমে দু’জনের কত যে ছবি এঁকেছি,
তবুও-কোন ছবি জীবন্ত হয়ে উঠল না,
কত সুখ-দুঃখ,চাওয়া-পাওয়া অন্তরে
গুমরে মরল-এ জীবনে পাওয়া হলো না।
♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
আমি নুপুর বিশ্বাস। পিতা হাজারী লাল বিশ্বাস এবং মাতা সুধা রানী বিশ্বাসের সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা। পিতৃ নিবাস-মনিরামপুর,যশোর।
পেশা-ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক, নেশা- সাহিত্য চর্চা। গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসি, নাচ,গান,কবিতা সর্বক্ষেত্রে একটু আধটু বিচরণ আছে। সম্প্রতি অবসরে মনের কথাগুলো একটু আধটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করছি মাত্র, -ব্যাকরণগত ভাবে সেগুলো কবিতা হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিচারে নাই বা গেলাম, লিখতে ভালো লাগছে,পাঠক পড়ে অনুপ্রাণিত করছে এই খুশিটাই অনেক পাওয়া,বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাই বলবো-“কবিতায় বাঁচি”।