শ্মশান
-কুমার সুশান্ত
↔↔↔↔↔↔
শ্মশান দেখেছ শ্মশান?
খালের ওপারে চার খুঁটির মাঝে
ওটাই মোদের শ্মশান।
ওখানে শান্তি- ক্লান্তি-পরিশ্রান্তি
সব কিছুর অবসান!
জীবনের সব চাওয়া পাওয়ার চরম অবস্থান।
সারাজীবন..
আমার আমার ব’লে করেছ তুমি কি?
দহনে জ্বলবে সাধের গড়া তোমার দেহটি।
যাদের জন্য কুড়ালে গ্লানি আর যত অপমান,
ওরাই তোমার পুড়িয়ে করবে সবকিছুর অবসান।।
শ্মশান, জীবনের শেষ অবস্থান!
এত সাধের ঘরবাড়ি আর সুন্দর দেহ
বেলাশেষে খেলাশেষে সঙ্গে রবেনা কেহ।
মুখের অন্ন বের করে দিয়েছিলে যার মুখে
শেষ বেলাতে সেও রবেনা তোমার চরম দুখে।
জায়া পুত্র পরিবার,
তুমি কারো নয় কেহ নয় তোমার!
পুত্র-কন্যা কাঁদবে সেদিন কর্তব্যের খাতিরে
মা জননী কাঁদবে শুধু সারাজীবন ধরে।
আত্মীয় স্বজন দেখতে এসে ফেলবে চোখের জল
বলবে, রাত পোহালেই বাঁশি মড়া চলনা নিয়ে চল্।
যে ছেলেকে প্রথম পেয়েছিলে হাজার সাধনা করে
ঐ ছেলেটাই জ্বালবে আগুন তোমার মুখের পরে।।
পঞ্চাশ বছর ঘর করেছ যে প্রেয়সিকে পেয়ে
এক মিনিটও রবে না বসে তোমার লাসটি নিয়ে।
তাহলে, কিসের এত গলাবাজি কিসের এত ধকল
ভেবে দেখো এ দুনিয়ায় সব কিছুই নকল।
আসল শুধু ইষ্টনাম আরতো সবই মিছে,
পাপ পূণ্যের হিসাব যাবে তোমার পিছে পিছে।
তাই বলি ভাই এই দুনিয়ায় কেন এতো অপমান,
একটুখানি ভেবে দেখ ঠিকানা…. মহা-শ্মশান।।
↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি:
কুমার সুশান্ত (প্রকৃত নাম- সুশান্ত কুমার ঘোষ) ঠিকানা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলাধীন দেবহাটা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম “চাঁদপুর”। প্রিয় শখ: নাটক ও কবিতা লেখা। এখনো কোন লেখা বই আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নাই।