জীবন নামের রেলগাড়িটা

-পপি প্রামানিক

⇒⇒⇒⇒⇒⇒

জীবন নামের রেলগাড়িতে চড়বো যেদিন আমি,

থাকবে পাশে সবাই সেদিন থাকবে না তো তুমি।

চলবে যখন রেলগাড়িটা ছুটবে খুবই জোরে,

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়েই যাবে সে তেড়ে।

জীবন পথের মাঝের বেলায় পাবো তোমার দেখা,

সেদিন থেকেই তোমার পাশে থাকবো প্রাণো সখা।

পাড়ি দিতে এই সময়টা থাকবো সুখে দুখে,

ঘৃণা আদর সবই থাকবে চলবো গায়ে মেখে।

এই গাড়িটা ঠাঁই দিবে তো আপন ভেবে নিয়ে,

কেউ তো আপন হয় না ভবে যাবে দুঃখ দিয়ে।

চলার পথে খেলতে গিয়ে আঁকড়ে ধরে মায়া,

সবাই আমায় ছেড়ে যাবে কেউ হবে না ছায়া।

কত কাজ যে সংসার মাঝে যাবে চলে বেলা,

জগৎ মাঝে চলতে গিয়ে করতে হয় যে খেলা।

মাঝে মাঝেই চলতে গিয়ে বিশ্রাম নিবে গাড়ি,

বুকটা তখন উঠবে কেঁপে যেতে হবে বাড়ি।

দু-চোখ ভরা কত স্বপ্ন যাবে হয়তো থেমে,

দু’দিনের খেলা ঘর ছেড়ে যেতে হবে নেমে।

স্বামী পুত্র রইবে পরে ভাসবে চোখের জলে,

নিয়ম নীতির বিধান মেনে আমি যাবো চলে।

গাড়ি ছাড়তেই রিটার্ন টিকিট দিবে আমার হাতে,

সময় শেষে যাবো আমি বিধির বিধান মতে।

সংসার মাঝে আপন ভেবে ধরবো আমি যারে,

যেতে হবে একাই আমার সবাই যাবে ছেড়ে।

আমি যেদিন থাকবো নাগো কর্মই রবে পরে,

আমায় মানুষ রাখবে মনে সেই কর্মের’ই তরে।

আমি যেদিন চলে যাবো হয়তো সেদিন বুঝবে,

ভালো মানুষ হলে তবেই হৃদয় মাঝে খুঁজবে।

রেলগাড়িটা থামবে যখন যাবে আমায় ভুলে,

শেষ বিদায়টা জানাবে হয়তো রঙিন ফুলে ফুলে।

শ্মশান ঘাটে শেষ স্টেশন জ্বলবে আমার চিতা,

শুভাকাঙ্খী সবাই কাঁদবে, কাঁদবে স্বজন মিতা।

⇒⇒⇒⇒⇒⇒

কবি পরিচিতঃ

পপি প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক, স্বামীঃ বিশ্বজিৎ সাহা, কালুখালী, রাজবাড়ী, বাংলাদেশ।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*