একাকীত্ব
-শিবানী সাহা
≡≡≡≡≡≡≡≡
দিনের শেষে সূর্য যখন অস্তাচলে,
পশ্চিমের ঝুলন্ত বারান্দায় আরাম কেদারায়
ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিয়ে পারুল
মনে মনে ভাবতে থাকে আজ একুশে ফেব্রুয়ারি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
এর অন্তরালে লুকিয়ে কত কাহিনী,
কত মায়ের চোখের জল,
বাতাসে ভেসে আসা বুকফাটা ক্রন্দন আজও শোনা যায়।
ভাষার স্বাধীনতা এলেও স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা
সংসারে পারুল কখনো পায়নি।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাকে মুখ বুজে
সব কিছু সহ্য করতে হয়েছে নিঃশব্দে নীরবে।
প্রতিবাদের ভাষা গুলো বুকের ভেতর গুমড়ে কেঁদেছে।
কত নিদ্রাহীন রাত কেটেছে চোখের জলে।
বোঝার ক্ষমতা বা সহানুভূতি কোনটাই পায়নি জীবনে।
আজ যখন সম্পূর্ণ স্বাধীন, তখন মনটা গেছে মরে।
আজ আর ভালো-মন্দ তাকে নানা দেয় না।
দিঘির জলে পড়ন্ত রক্তিম আভাটা দেখে যৌবনের কথা মনে পড়ে।
এমনি এক গোধূলি লগ্নে স্বাধীন জীবনে পরাধীনতার বেড়ি পড়েছিল পায়।
এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষায় দিন গোনা,
কোন ঘটনাই আর মনকে নাড়া দেয় না।
≡≡≡≡≡≡≡≡
কবি পরিচিতি:-
আমি শিবানী সাহা। বর্তমানে হুগলি জেলার কোন্নগরে বাস করি। কবিতা পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি। আমি একজন সাধারণ গৃহবধু। আমার লেখা পাঠকের ভালো লাগলে সেটাই লেখার স্বার্থকতা। আগামীদিনের প্রেরণা।