দোলযাত্রা
-নিত্যানন্দ বিশ্বাস
¤¤¤¤¤¤¤¤¤
লতাপাতা খড়কুটা জ্বালিয়ে আজকে
মোরা করবো ন্যাড়াপোড়া
কালকে হোলি রঙ,আবীর মাখাবো
তরা করে এসো না তোরা।
হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা বর প্রাপ্ত
অগ্নিতে দহন হবে না হোলিকা
অগ্নিকুন্ডে ভক্ত প্রল্লাদকে নিয়ে কোলে
মারার জন্য নিজে পুড়ে মরে হোলিকা।
বছর শেষে এলো রে উৎসব দোলযাত্রা
মহারাজ বসন্তে রঙের খেলা
কৃষ্ণচূড়া,মান্দার শিমুল,অশোক,পলাশ
আকাশে বাতাসে আবীর মেলা।
শ্রীমতী রাধা রানি ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী
শ্রীকৃষ্ণ বলে মা যশোদাকে
মা যশোদা বলে বসন্ত পূর্ণিমার
আবীরে রাঙাবে শ্রীরাধাকে।
তাই দোলযাত্রার দিনে নরনারী
খেলে আবীর খেলা
সুন্দর কালো এক রঙে হয় রঙিন
শ্রীকৃষ্ণের একি লীলা খেলা।
¤¤¤¤¤¤¤¤¤
কবি পরিচিতি:
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গ্রামরত্ন আস্করে এক বিখ্যাত ভাংরা বংশে ১৯৬৯ সালে পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম নিতাই ভাংরা। তাঁর মাতার নাম সুচিত্রা রাণি বিশ্বাস। পিতার নাম তারাকান্ত বিশ্বাস।পিতামহ নবীন বিশ্বাস। ছন্দবদ্ধ,চিত্রময়তা,অক্ষর বিন্যাস ও শব্দের প্রয়োগ কুশলতা তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য। সর্বাধুনিক ছন্দ অক্ষরবৃত্ত ও সনেট তাঁর কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস,ঐতিহ্য,সাহিত্য,সংস্কৃতি,প্রকৃতি,দেশপ্রেম ও মানবীয় প্রেম প্রস্ফুটিত তাঁর লিখনে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ,৫২-এর ভাষা আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ ও শুভবোধের অসাধরণ এক কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস। তিনি একজন বহুমাত্রিক লেখক।