রঙ্গিনীর নামেই রং , জীবন ওর সাদা ,
সাদা শাড়ি কালো পারে ,বাকি জীবন বোধ হয় কাদা ।
বিয়ের তার দুই বছরে, বিধবা হলো সে , বিধবা বলে কেউ গা
ঘেঁষে না , বলে ,” কালি মাখা মেয়ে “।
রঙ্গিনী কে ফিরতে দেখে , রূপের খুশির ফোয়ারা ,
তার সাথে দেখার তরে , খোঁজে নানান বাহানা ।
ছোটবেলার বন্ধু তারা , ভালোবাসায় মন ,
বিচ্ছিন্ন হবে হঠাৎ করে , বোঝেনি এই সেইক্ষণ ।
শ্রাবণের বৃষ্টির নেশায় , মাতাল রঙ্গিনীর মন ,
ভালোবাসার স্পর্শ পেতে , খোঁজে সেই প্রিয়জন।
দূরের থেকে রূপের দৃষ্টি , রঙ্গিনীর দিকে রয় ,
ভালোবাসার হাতটা বাড়িয়ে , প্রেম নিবেদন চায় ।
মেতে ওঠে দুটি মন , বাইরে অঝোর ঝড়ে ,
ভালোবাসার বিন্দুসম , সমুদ্রে সঞ্চিত করে ।
মার দৃষ্টি পার পেল না , রঙ্গিনীর আঁচলের দাগ ,
শক্ত করে হাতটা ধরে , রূপ বলে , “আমি তোর সোহাগ “।
দুটি আত্মার এক হল , বাঁধল বিবাহ বন্ধনে ,
প্রতিটি মেয়ের জীবনে থাকুক
ভালোবাসার মানুষ প্রতিক্ষণে ।।
কবি পরিচিতি :
নাম — মৌটুসী চৌধুরী। পিতার নাম স্বর্গীয় শ্রী তপন রঞ্জন পাল । মাতা শ্রীমতী মঞ্জুলা পাল । তার জন্ম , পড়াশুনা আসানসোল শহরে । স্বামীর চাকরী সূত্রে গত ১৬ বছর ধরে রাঁচি শহরের বাসিন্দা । তিনি দুই সন্তানের মা । লেখা লিখি করতে ভালোবাসেন ।