অভিশপ্ত
আমার প্রত্যেকটি নিঃশ্বাসের শিরদাড়া বেয়ে
বয়ে গেছে আগুনের শিখা…
এ আগুনে আমি বহুবার পুড়েছি,
কিন্ত কখনো মরিনি।
কোনদিনও মৃত্যু এসে আমাকে
মুক্তি দেয় না…
প্রতিবারই মৃত্যকে আমি
জিজ্ঞাসা করি,মুক্তি এনেছো?
মৃত্যু বলে,তোমাকে ছু’বো না !
মৃত্যু বার বার এ কথা বলে,
বার বার আমি মৃত্যুর চেহারা দেখি –
এই মেয়েটি যে মৃত্যু তা তো আমি জানতাম না!
ওর মুখ তো আমি সেই
কবেই পুড়িয়ে দিয়েছি এ্যাসিডে!
দাও দাও করে আগুন জ্বলছিলো…
ভীষণ ভয়ে আমি পালাতে চেয়েছি,
কিন্ত আমার পা ভারী হয়ে আসছিলো;
সিড়ি বেয়ে নেমে এলেই সামনে
পেতাম মনুষ্যত্বের বাড়ি।
মেয়েটি সর্তক করেছিলো,
মনুষ্যত্বের দেয়ালে ভর দিও না।
তোমার ভর ভয়াবহ !
আসলেই তাই !
পুরো শ্বশান হয়ে গেছে বুকটা,
এক একটি দীর্ঘশ্বাসও ঘৃনায়
ঢাকে আমার প্রকৃত মুখটা।
মেয়েটি নির্লিপ্ত নি:শ্বাসে এই মুখের
দিকেই ঠায় তাকিয়ে থাকে…
একটা কথাও বলে না, অসহ্য…
এখন আমি বুঝেছি,
নিস্তব্ধতার অনেক অনেক জোর।
কিন্ত আমি বুঝি না মৃত্যু অবশেষে
ছুঁয়ে গেলেও জড়িয়ে কেন ধরে না একবার?
রোজ রোজ মরে যাবার জন্য
ঘৃনা ছাড়া আর কি কি দরকার….?
২৪/১২/২০২১