বসন্ত আসে,
দরজার বাহিরে পা বাড়াতেই দেখি
উঁকি মারে আহত গোলাপ ও তোমার স্মৃতি।
এই বসন্তে-
তোমার স্মৃতি ও আমার কবিতার
অপূর্ব মিলন রোধ করার
নিয়ম ভেঙ্গেছি আমি।
তোমাকে আমি মনে করেছি…
ছুঁয়ে যায় বসন্ত,
ছুঁয়ে যাও তুমি,
এমনকি ছুঁয়ে যায় মৃত্যুও…
আশ্চর্য! সবার এত মিল -ছুঁয়ে যায়
কিন্ত কেউ জড়িয়ে ধরে না।
আমার কবিতার পাতার রুলকাটা ঘরে
মেঘ করে যে দু:খ আসে
সেই একমাত্র জড়িয়ে ধরে;
তখন তোমাকে আবার মনে পড়ে…
মেঘগুলো যেন তুমি দিয়েছো ধার,
নিত্যদিন রোদকে নিমন্ত্রন করবো
এত সাহস নেই তো আমার…
বিকেল হলেই আকাশের
সূর্যকে গিলে খাওয়া,
বার বার তোমাকে ভালোবেসে
আমার বিলীন হওয়া,
সব যেন একই ঘটনা;
দু:খজনক ঘটনা।
প্রতিটি দু:খ নাড়া দেয় হ্রদযন্ত্রে।
যন্ত্রটা থেমে যাবে কি না করি না সে চিন্তা,
যে ভালোবাসে তার আবার কিসের মৃত্যুভয়?
শুধু কিছুটা মৃত হয়ে যাবার থাকে সংশয়!
কোন হাসপাতালেই পাইনি আমি
এর কোন প্রতিকার।
কিন্ত দেখলাম, এক ক্ষুদ্র ব্যাসার্ধ নল দিয়ে
কত সহজে মানুষের শরীরে ঢুকছে তরল;
ভালোবাসা,তুমি কেন তরল হলে না ?
তোমার রক্তে মিশেই দুমড়ে মুচড়ে
এক জন্ম একসাথে
সহজে চলা শিখিয়ে দিতাম…
Khaled Mahmud Khan
০১/০৩/২০২২