পিতা
-সব্যসাচী প্রামাণিক
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
(জগতের সব পিতাকে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য-)
বাবা গো তোমার স্নেহ ভালোবাসা আড়ালে সদাই থাকে,
সর্বদা সবে আগলে রেখেছ,লুকায়েছ আপনাকে!
হাড় ভাঙা শ্রমে উপার্জনের অর্থ দিয়েছ তুলে,
সবার চাহিদা পূরণ করেছ,নীরবে নিজেকে ভুলে!
সংসারে সবে কাজ ক’রে বলি করছি তোমারি কাজ,
একা তুমি শুধু নীরবে খেটেছো দেখিয়াছে এ সমাজ।
তোমার টাকাকে আমরা সবাই ভেবেছি নিজের ধন,
আমাদের সবে অধিকার আছে,দায় তব আজীবন !
আরো অনেকেই আয় করে টাকা, সামলায় নিজ ধন।
যদি সংসারে ব্যায় করে তারে,হিসাবের প্রয়োজন!
তুমি সেই জন,যে উপার্জন সংসার শুধু নেবে ।
তুমিও সকলি উজাড় করেছ,সব আপনার ভেবে!
সব দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়ে বহন করেছ তুমি,
সবাই কে তার প্রাপ্য দিয়েছ,জননী-জন্মভূমি !
সমাজ গড়েছ সংসার সাথে,সেখানেও তুমি পিতা,
কর্মক্ষেত্রে মহান হয়েছ স্বার্থ ত্যাগীয়া সেথা ।
শত যন্ত্রণা সহ্য করেও মাথা উঁচু করে আছো,
হাসি মুখে সব ব্যথাভার সয়ে,প্রাণ ভরে তুমি বাঁচো!
উৎসাহ আর উদ্দীপনায় আমারে ভরিয়া রাখো,
দিলখোলা হেসে সাহস জোগাও বুকের মাঝেতে থাকো।
বুঝিলাম সবি যেদিন হলাম সংসারী আর পিতা,
কেন পছন্দ পুরানো পোশাক,জুতো,ব্যাগ আর ছাতা !
আমি ও এখন নতুন কিছুকে ভালোই বাসিনা আর,
তোমার স্নেহকে বুঝেছি এখন বাবাদের দায়ভার!
নিঃস্বার্থের যদি কিছু থাকে,পিতার অন্ন তাহা,
মাতৃদুগ্ধ সম সেই সুখ জগৎ গড়িছে যাহা !
পিতাই স্বর্গ পিতাই ধর্ম পিতা পরমং তপ !
প্রণমী চরণে তাইতো পিতার,অন্তরে তারে জপো।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
নাম সব্যসাচী প্রামাণিক, পিতা- হরেরাম প্রামাণিক, মাতা-মিনতী প্রামাণিক, জন্ম ১৫ই জুলাই ১৯৭৯ দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার গোচারণে। পেশা- শিক্ষকতা, বর্তমানে তিনি থাকেন – ওয়ার্ড নং-৬, চক্রবর্তী পাড়া, রাসমাঠ , বারুইপুর। প্রচন্ড অভাবে বড়ো হয়ে ওঠার পাশাপাশি জীবনে বিভিন্ন ধরনের কর্ম করতে হয়েছে শুধু দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য । বর্তমানে ঈশ্বরের কৃপায় সব পেয়েছির দেশে পৌঁছাতে পেরেছি। তবে দুটি জীবনে পার্থক্য খুব বেশি নয়। শূন্য আর পূর্ণ তে সামান্য একটু তফাত। ১লা জানুয়ারী ২০২১ প্রকাশিত হয়েছে ৪৯টি কবিতার একক সংকলন ‘মুক্তির কলমে সব্যসাচী’ কাব্য গ্রন্থ।
উদ্দেশ্য- একটি কথা মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলে দিতে পারে। আর ভাবনাই পারে জগৎ বদলাতে । আমার একটি কথা যদি কারো ভাবনার শুভ পরিবর্তন ঘটাতে পারে ধন্য হবেন কবি ও তার সাহিত্য সেবা ।