সৃষ্টির মূলে
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আদম ও ইভ সৃষ্টির মূলে, তারা নিষ্কলঙ্ক,
সরল, স্বচ্ছ, স্বার্থ, লোভ, ছিল না কিছুই
পরিবর্তনের সঙ্গে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হযেছে
সন্ত্রাস,হিংসা লোভ মিশ্রিত হাহাকার শুধুই।
অর্জুন গাছ, নিজেকে, আর্য্য পুরুষ ভাবে,
নিজের দম্ভে দাম্ভিক, ভাবে কি পৌরুষই তার,
প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে, এ বিষয়ে তর্ক অনর্থক,
পুরুষ ও প্রকৃতি, সৃষ্টির প্রারম্ভে, অতীত প্রশংসার।
ফাগুনের রক্তিম পলাশ, তারা রম্ভা, অপ্সরা উর্বশী,
বলতে দ্বিধা নেই, কে বেশী প্রয়োজনীয়, প্রাসঙ্গিক;
উভয়েরই অপার সৌন্দর্য, উপভোগ্য দাপট গরিমার,
পুরুষ যদি আকাশ, নারী তবে ধরিত্রী, আপেক্ষিক।
উভয়ের সম্পর্ক বন্ধুত্বের, তবে বন্ধুর নয় মোটেই,
একে অন্যের পরিপূরক, বন্ধুই থাকবে চিরদিনই,
মান অভিমান সব ভুলে, বন্ধুত্বের হাত, দেবে বাড়িয়ে
পুরুষ ও প্রকৃতি সহনশীল, একে অন্যের কাছে ঋণী।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর চারেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

